
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
রাজধানীর উত্তরার সেক্টর-১২ এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, সৌদি আরবপ্রবাসী শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী তানজিদা মিম ওই রাতে তার পরিচিত এক যুবক মেহেদী হাসানকে বাসায় আনেন। মেহেদী উত্তরার একটি বিপণিবিতানে কর্মরত। বাড়ির দারোয়ান আমিনুর রহমান জানান, মিম আগেই জানিয়েছিলেন যে রাতে একজন অতিথি আসবেন এবং তাকে ঢুকতে দিতে বলেন। পরে রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মেহেদীকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়।
পরিবারের অভিযোগ, মিম ওই রাতে তার দুই সন্তানকে পাশের কক্ষে আটকে রাখেন। বড় ছেলে মুসা জানায়, সে দেখেছে তার মা একজন পুরুষের সঙ্গে একই রুমে ছিলেন। বিষয়টি জানার পর প্রবাসী শাহাবুদ্দিন সৌদি আরব থেকে ফোন করে বড় ভাবি রাজিয়া আক্তার সুমিকে সন্তানদের খোঁজ নিতে বলেন।
রাত ১২টার দিকে রাজিয়া সুমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমের কক্ষে এক যুবককে দেখতে পান। পরে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ রাত ২টার দিকে সেখানে পৌঁছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। মিম জানান, তিনি সেদিনই স্বামীকে তালাক দিয়েছেন, তাই ওই যুবক তার অতিথি হিসেবে বাসায় ছিলেন।
তবে কোনো লিখিত তালাকপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ বিষয়টি যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়ে কাউকে আটক না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরদিন সকালে স্থানীয়রা জানান, মিম, তার ছোট ছেলে এবং কয়েকজন যুবক গহনা ও কিছু মালামাল নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান। দারোয়ান জানান, সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তারা বাসা ত্যাগ করেন।
সৌদি আরব থেকে শাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ২০১৩ সালে মিমকে বিয়ে করেন এবং দীর্ঘদিন রিয়াদে একসঙ্গে ছিলেন। ২০২২ সালে স্ত্রী ও সন্তানদের দেশে রেখে আসেন। গত বছর থেকেই স্ত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) জানান, শাহাবুদ্দিনের মা মোছাঃ আফিয়া বেগম ৩০ অক্টোবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ২৯৩০) করেছেন। তদন্ত চলছে, প্রবাসী স্বামী দেশে ফিরলে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকায় চলা সংসারে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।